প্রতিস্থাপিত কৃত্রিম খুলিতেই কলাবিন্যাস, প্রথমবারের পরীক্ষাতেই সফল ভারত
Reading Time: 2 minutes
“অঙ্গ প্রতিস্থাপন” কথাটার সঙ্গে আমরা সকলেই পূর্ব পরিচিত। আমাদের বাড়ির আনাচে কানাচে এমন অনেকেই হয়ত আছেন, যাদের হয়ত কোনো না কোনোও দূর্ঘটনা জনিত কারণে সাক্ষী থাকতে হয়েছে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের। অর্থ্যাৎ, রক্ত মাংসে গড়া তাদের শরীরে যুক্ত হয়েছে পলিইথিলিনের তৈরি অঙ্গবিশেষ, যা আদতে অচল কিন্তু সাহায্যকারী । রাস্তায় বেরোলেও আমরা এমন অনেক মানুষই দেখতে পাই যাদের পা তৈরি প্লাস্টিকের কোনো গঠন দিয়ে এবং দিব্যূ সচলাবস্থায় সেই প্লাস্টিকের পা নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন সেই ব্যক্তি।
পায়ের প্রতিস্থাপন তো শুনেছেন এবং দেখেওছেন। কিন্তু কখনো “মাথার খুলির প্রতিস্থাপন” শুনেছেন? আঞ্জে হ্যাঁ….এমনই এক আশ্চর্য চাঞ্চল্যকর ঘটনার সূত্রপাত ঘটল পুনের ভারতী হাসপাতালে। বছর চারেকের এক শিশুকন্যার মাথার খুলি, একটি ত্রিমাত্রিক পলিইথিলিনের খুলির সাথে প্রতিস্থাপন করে বিরাট সাহসিকতা এবং পারদর্শীতার পরিচয় দিলেন পুনের দুই বিশেষঞ্জ ডাক্তার ডা. জিতেন্দ্র ওসওয়াল এবং ডা. বিশাল রোকড়ে । যেটাকে ভারতের সর্বপ্রথম সফল ‘খুলি প্রতিস্থাপন শল্যবিদ্যা” বলা যায়। শোনা যায়, গত ইংরাজী বছরের মে মাসের ৩১ তারিখে, একটি দুর্ঘটনায় শিশুটির এই হাল হয় । দুটি ভয়ঙ্কর অস্ত্র প্রচারের পর হাসপাতাল মুক্ত হলেও বিপদ তখনও ছিল তার দরজায় দাড়িয়ে। কারণ বেশ কয়েক মাসের মধ্যেই শুরু হয় আবার রক্তপাত। শিশুটিকে দারস্থ হতে হয় হাসপাতালের। সিটি স্ক্যান রিপোর্টে দেখা যায়, তার মাথার খুলির ওক্সিপেটাল হাড় টি ভাঙা অবস্থায় রয়েছে, যা মস্তিষ্ককে সংকোচিত করে রাখে। ফলস্বরূপ, মস্তিষ্কের ঝিল্লীর উপরিত তরল পদার্থ মস্তিষ্কের বিভিন্ন জায়গায় থলে থলে জমা হয়, চিকিৎসা বিঞ্জানের ভাষায় যাকে বলা হয়, “ইডেমা” । দূর্ঘটনাজনিত নানান তীব্র মানসিক আঘাতের ফলে, তার মস্তিষ্ক কেন্দ্রচ্যুত হয়, বিঞ্জানে যাকে বলে “মিডলাইন শিফ্ট অফ ব্রেন “।
তাই এত কিছুকে সঙ্গে নিয়ে, চলতি ইংরাজী বছরের মে মাসে শিশুটিকে পুনরায় হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় অঙ্গ প্রতিস্থাপনের জন্য। প্রথমদিকে চিকিৎসকদের কাছে শিশুটির এই ভঙ্গুর করোটি প্রতিস্থাপন করাটা ছিল একটা কঠিন চ্যালেঞ্জ। কিন্তু পরাজয়ের বশ্যতা শিকার করেননি তারাও, শল্যচিকিৎসা সংক্রান্ত বহু গবেষণার পর একটি US কম্পানির তৈরি বহুরন্ধিত পলিইথিলিন হাড়ের সাহায্য নেন তারা। রন্ধ্র যুক্ত এই হাড় কলাবিন্যাসে সক্ষম।
প্রথমে নিউরোসার্জান-রা শিশুটির মাথার খুলির সম্মুখভাগের পুরোটা, মধ্যকপালের আংশিক ও টেম্পোরাল হাড় অপসারণ করেন, মস্তিষ্ককে চাপমুক্ত করার জন্য। তারপর, পূর্ণ করা হয় শিশুটির খুলির সামনের ও পিছনের গহ্বর। সবশেষে US কম্পানীর তৈরি পলিইথিলিনের খুলি দিয়ে ঠিক করা হয় অঙ্গবিকৃতি।
বর্তমানে তার মায়ের উক্তিতে বোঝা যায়, শিশুটি সম্পূর্ণরূপে সুস্থ স্বাভাবিকভাবে জীবনযাপন করছে। চিকিৎসাবিঞ্জানের এমন উন্নতি প্রশংসনীয়। এমন অবিস্মরণীয় ঘটনাও দুর্লভ। তবুও কুর্নিশ সেসব চিকিৎসকদের যাদের হাতের জাদুতে নতুন আলোয় ছুটছে একটি ফুলের শিশু। আশা করা যায়, ভবিষ্যতেও প্রত্যেকই এমন চিকিৎসার সাক্ষী থেকে ফিরে পাবে, তাদের প্রাণ।
পায়ের প্রতিস্থাপন তো শুনেছেন এবং দেখেওছেন। কিন্তু কখনো “মাথার খুলির প্রতিস্থাপন” শুনেছেন? আঞ্জে হ্যাঁ….এমনই এক আশ্চর্য চাঞ্চল্যকর ঘটনার সূত্রপাত ঘটল পুনের ভারতী হাসপাতালে। বছর চারেকের এক শিশুকন্যার মাথার খুলি, একটি ত্রিমাত্রিক পলিইথিলিনের খুলির সাথে প্রতিস্থাপন করে বিরাট সাহসিকতা এবং পারদর্শীতার পরিচয় দিলেন পুনের দুই বিশেষঞ্জ ডাক্তার ডা. জিতেন্দ্র ওসওয়াল এবং ডা. বিশাল রোকড়ে । যেটাকে ভারতের সর্বপ্রথম সফল ‘খুলি প্রতিস্থাপন শল্যবিদ্যা” বলা যায়। শোনা যায়, গত ইংরাজী বছরের মে মাসের ৩১ তারিখে, একটি দুর্ঘটনায় শিশুটির এই হাল হয় । দুটি ভয়ঙ্কর অস্ত্র প্রচারের পর হাসপাতাল মুক্ত হলেও বিপদ তখনও ছিল তার দরজায় দাড়িয়ে। কারণ বেশ কয়েক মাসের মধ্যেই শুরু হয় আবার রক্তপাত। শিশুটিকে দারস্থ হতে হয় হাসপাতালের। সিটি স্ক্যান রিপোর্টে দেখা যায়, তার মাথার খুলির ওক্সিপেটাল হাড় টি ভাঙা অবস্থায় রয়েছে, যা মস্তিষ্ককে সংকোচিত করে রাখে। ফলস্বরূপ, মস্তিষ্কের ঝিল্লীর উপরিত তরল পদার্থ মস্তিষ্কের বিভিন্ন জায়গায় থলে থলে জমা হয়, চিকিৎসা বিঞ্জানের ভাষায় যাকে বলা হয়, “ইডেমা” । দূর্ঘটনাজনিত নানান তীব্র মানসিক আঘাতের ফলে, তার মস্তিষ্ক কেন্দ্রচ্যুত হয়, বিঞ্জানে যাকে বলে “মিডলাইন শিফ্ট অফ ব্রেন “।
তাই এত কিছুকে সঙ্গে নিয়ে, চলতি ইংরাজী বছরের মে মাসে শিশুটিকে পুনরায় হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় অঙ্গ প্রতিস্থাপনের জন্য। প্রথমদিকে চিকিৎসকদের কাছে শিশুটির এই ভঙ্গুর করোটি প্রতিস্থাপন করাটা ছিল একটা কঠিন চ্যালেঞ্জ। কিন্তু পরাজয়ের বশ্যতা শিকার করেননি তারাও, শল্যচিকিৎসা সংক্রান্ত বহু গবেষণার পর একটি US কম্পানির তৈরি বহুরন্ধিত পলিইথিলিন হাড়ের সাহায্য নেন তারা। রন্ধ্র যুক্ত এই হাড় কলাবিন্যাসে সক্ষম।
প্রথমে নিউরোসার্জান-রা শিশুটির মাথার খুলির সম্মুখভাগের পুরোটা, মধ্যকপালের আংশিক ও টেম্পোরাল হাড় অপসারণ করেন, মস্তিষ্ককে চাপমুক্ত করার জন্য। তারপর, পূর্ণ করা হয় শিশুটির খুলির সামনের ও পিছনের গহ্বর। সবশেষে US কম্পানীর তৈরি পলিইথিলিনের খুলি দিয়ে ঠিক করা হয় অঙ্গবিকৃতি।
বর্তমানে তার মায়ের উক্তিতে বোঝা যায়, শিশুটি সম্পূর্ণরূপে সুস্থ স্বাভাবিকভাবে জীবনযাপন করছে। চিকিৎসাবিঞ্জানের এমন উন্নতি প্রশংসনীয়। এমন অবিস্মরণীয় ঘটনাও দুর্লভ। তবুও কুর্নিশ সেসব চিকিৎসকদের যাদের হাতের জাদুতে নতুন আলোয় ছুটছে একটি ফুলের শিশু। আশা করা যায়, ভবিষ্যতেও প্রত্যেকই এমন চিকিৎসার সাক্ষী থেকে ফিরে পাবে, তাদের প্রাণ।
(কলমে: মৌসুমী বিশ্বাস)