পুরুষের সাথে মিলিত না হয়েই দুটি বাচ্চা প্রসব করল একটি সবুজ অ্যানাকোন্ডা
নিউক্র্যাড হেলথ বাংলার নিজস্ব প্রতিবেদন
ইংল্যান্ডের একটি অ্যাকোয়ারিয়ামে একটি বিরল ও বিস্ময়কর ঘটনায় নিউ ইংল্যান্ড অ্যাকুয়ারিয়ামের কর্মীরা হতভম্ব হয়ে পড়েছে, একটি মেয়ে অ্যানাকোন্ডা কোনও পুরুষ অ্যানাকোন্ডার সাথে মিলন ছাড়াই ছাড়াই বাচ্চা প্রসব করেছে। আপনি কিভাবে এই ঘটনা ব্যাখ্যা করবে? একটি অলৌকিক ঘটনা, বা হয়তো বলবেন অ্যাকোয়ার্ডস অ্যাকোয়ারিয়াম কর্মচারীদের অলক্ষ্যে হয়ত কোনো পুরুষ অ্যানাকোন্ডার সাথে মিলিত হয়েছিল?
মহিলা অ্যানাকোডাটির ‘পার্থেনজেনেসিসেস’ বা কুমারী-জন্মের ক্ষমতা রয়েছে।
যদিও এইভাবে নিষেক উদ্ভিদ ও পোকামাকড়ের মধ্যেই সাধারণত দেখা যায়, তবে বিজ্ঞানীগণ জানিয়েছেন লিজার্ড, পাখি, হাঙ্গর এবং সাপের ক্ষেত্রেও এই পদ্ধতিতে জন্মদান পদ্ধতির উপস্থিতিও নথিভুক্ত করেছেন। এই ঘটনার আগে, 2014 সালে যুক্তরাজ্যের এক চিড়িয়াখানায় একবার জীববিজ্ঞানীগণ এই ধরনের ঘটনা দেখেছিলেন। বিজ্ঞানীরা নতুন জন্মানো অ্যানাকোন্ডাদের ডিএনএ পরীক্ষা পরিচালনা করে দেখেছেন তারা জেনটিক্যালি মায়ের সাথে একদম একই রকম।
কিভাবে অ্যানাকোন্ডাটি বন্দিদশাতেই প্রসব করল?
বন্দিদশায় প্রসব সবুজ অ্যানাকোন্ডাদের কাছে সাধারণ একটি বিষয়। আমাজন বেসিনের সাপগুলির অ্যাকোয়ারিয়ামে অবস্থান কালে প্রসবে কোন অসুবিধা দেখা যায় না । এই সাপগুলি অবাধে প্রজনন করতে দেওয়া হলে তারা যদি প্রায় এক ডজন শিশুর জন্ম দেয়, তবুও অ্যাকোয়ারিয়াম রক্ষকরা অবাক হবেন না। যদিও প্রাকৃতিক ভাবেই এমনও ঘটনা ঘটেছে যেখানে তারা বনভূমিতেও অবস্থান কালেও পার্থিনোজেনেসিসের সাহায্য জন্ম দেয়। অনেক অ্যাকোয়ারিয়াম রক্ষাকারী ব্যক্তিরা অ্যামেরিকান সাপগুলিতে স্ত্রী ও পুরুষের ভিত্তিতে সাবধানে আলাদা করে সংখ্যা গুনে তারপরে রাখে যাতে কতগুলি বাচ্চা প্রসব করল সে বিষয়ে সঠিক গুনতি করতে পারে। যাইহোক, পার্থিনোজেনেসিসের প্রমাণ করে যে, জীবন তার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে নিজস্ব উপায় খুঁজে বের করে।
নিউক্র্যাড হেলথ নিয়ে এলো বিশ্বের প্রথম স্বাস্থ্য বিজ্ঞান সংবাদ মাধ্যম আমাদের মাতৃভাষা বাংলা তে । আপনাদের সহযোগিতা কামনা করি । নিউক্র্যাড হেলথ পড়ুন আর স্বাস্থ্য বিজ্ঞান তথ্য সংগ্রহ তে এগিয়ে থাকুন ! শেয়ার করে আমাদের সমাজের সচেনতা বাড়াতে সহযোগিতা করুন । আপনারা পেজ টি লাইক করুন । ভালো লাগলে রিভিউ দিতে কার্পণ্য করবেন না ।
ধন্যবাদান্তে
ড: বিশ্বরূপ ঘোষ, গবেষক, আমেরিকায় কর্মরত
নিউ ইংল্যান্ড অ্যাকোয়ারিয়ামের অ্যানাকোন্ডার গল্পটা কী?
সবুজ আনাকোন্ডা যা নিয়ে আমরা কথা বলছি তার নাম অ্যানা। সেটি প্রায় 30 পাউন্ড বা 13.6 কিলোগ্রাম ওজনের, 10 ফুট দৈর্ঘ্যের একটি, আট বছর, বয়সী অ্যানাকোন্ডা। তার জন্মের পর থেকে কোন পুরুষ আনাকোন্ডার সাথে তার মিলন ঘটেনি। গত শীতে, তাতেই যখন সে তিন সন্তানের জন্ম দেন, বেশিরভাগ অ্যাকোয়ারিয়াম পশুচিকিত্সক বিস্মিত হয়েছিলেন। জন্মের কয়েক দিনের মধ্যে নবজাতক সাপের একটি মারা যায়। পশুচিকিৎসখদের এই পার্থেনজেনেসিসেসের ধারণা ছিল। সাধারণত প্রাকৃতিক উদ্ভাবন যদি মানুষের দ্বারা কোন কারণে বাধাপ্রাপ্ত হয় তখন গাছপালা, কীটপতঙ্গে পার্থেনজেনেসিসেসের মাধ্যমে বলে বংশবিস্তার সংঘটিত হয়। কিন্তু তারা কি আশা করেছিল যে এই জিনিস তাদের অ্যাকোয়ারিয়ামে ঘটবে। সুতরাং, ঘটনাটি প্রকাশ করার আগে, অ্যাকোয়ারিয়াম কর্মীরা প্রথমে অ্যানা এর সকল রুমমেটরা কোন লিঙ্গের তা পুনরায় পরীক্ষা করেছিলেন।
সবুজ আনাকোন্ডা যা নিয়ে আমরা কথা বলছি তার নাম অ্যানা। সেটি প্রায় 30 পাউন্ড বা 13.6 কিলোগ্রাম ওজনের, 10 ফুট দৈর্ঘ্যের একটি, আট বছর, বয়সী অ্যানাকোন্ডা। তার জন্মের পর থেকে কোন পুরুষ আনাকোন্ডার সাথে তার মিলন ঘটেনি। গত শীতে, তাতেই যখন সে তিন সন্তানের জন্ম দেন, বেশিরভাগ অ্যাকোয়ারিয়াম পশুচিকিত্সক বিস্মিত হয়েছিলেন। জন্মের কয়েক দিনের মধ্যে নবজাতক সাপের একটি মারা যায়। পশুচিকিৎসখদের এই পার্থেনজেনেসিসেসের ধারণা ছিল। সাধারণত প্রাকৃতিক উদ্ভাবন যদি মানুষের দ্বারা কোন কারণে বাধাপ্রাপ্ত হয় তখন গাছপালা, কীটপতঙ্গে পার্থেনজেনেসিসেসের মাধ্যমে বলে বংশবিস্তার সংঘটিত হয়। কিন্তু তারা কি আশা করেছিল যে এই জিনিস তাদের অ্যাকোয়ারিয়ামে ঘটবে। সুতরাং, ঘটনাটি প্রকাশ করার আগে, অ্যাকোয়ারিয়াম কর্মীরা প্রথমে অ্যানা এর সকল রুমমেটরা কোন লিঙ্গের তা পুনরায় পরীক্ষা করেছিলেন।
অ্যাকোয়ারিয়ামের কর্তৃপক্ষের কাছে অ্যানার জীবনের সকল বিস্তারিত তথ্য নথিভুক্ত রয়েছে। অ্যানা একটি বিখ্যাত সরীসৃপ সংস্থায় জন্মগ্রহণ করেছিল এবং পরে নিউ ইংল্যান্ডের অ্যাকোয়ারিয়ামে তাকে স্থানান্তরিত করা হয়। সারা জীবনে, তাকে কোন পুরুষ অংশীদারদের সাথে যোগাযোগ করতে দেওয়া হয়নি। এই পরিস্থিতিতে, গর্ভবতী হবার কোন সুযোগ ছিল না। অ্যাকোয়ারিয়াম কর্মীরা অ্যানার শিশুদের ডিএনএ পরীক্ষা পর্যন্ত করায়। তাদের অনুমান নিখুঁত ছিল; ডিএনএ পরীক্ষায় জানা গেছে, অ্যানা এর উভয় শিশুই মায়ের পুরোপুরি তাদের মায়ের জেনেটিক কপি ছিল (জেনেটিক্যালি আইডেন্টিক্যাল)। এটি কেবল তখনই সম্ভব যখন একটি প্রাণী অযৌন জননের সাহায্যে শিশুর জন্ম দেয়।
নতুন জন্মগ্রহণকারী অ্যানাকোন্ডাদুটি কেমন?
অ্যাকোয়ারিয়াম পশুচিকিৎসকগন এখনও এই সদ্যজাত দুটিকে লোকের সামনে দেখানোর অনুমতি দেননি। তারা বাইরের জগতে সাপদুটিকে প্রকাশ করার আগে, নিয়মিত মানুষের সাথে যোগাযোগের জন্য তাদেরকে আগে তৈরি করতে চায়। চিড়িয়াখানা-কর্মচারীরা তাদের যথাযথ যত্ন নিচ্ছেন এবং ধীরে ধীরে জনসাধারণের দেখার অভ্যাস তৈরি করছেন। যদিও দুটি বাচ্চারা একে অপরকে সঠিক জেনেটিক কপি করে তবুও প্রকৃতিগতভাবে তারা সম্পূর্ণরূপে ভিন্ন। একজন অ্যাকোয়ারিয়াম মধ্যে এদিক ওদিক করা পছন্দ করে না। অন্য একজন সর্বদা এদিকে ওদিকে ঘুরছে ও জিহ্বা দিয়ে জিনিস নাড়াচাড়া করে যাচ্ছে।