অ্যান্টিবায়োটিক ফ্লোরোকুইনোলোন ব্যবহার নিয়ে কড়া সতর্কবর্তা
সারা বিশ্ব মেতেছে বড়োদিনের কেক-টুপিতে; পুরোনো বছরের সমস্ত গ্লানি, চাওয়া-পাওয়ার বে-হিসাবী রসিদ ভুলে গিয়ে নতুন করে নতুন বছর শুরুর কথা ভাবছে বিশ্ববাসী, বছর যখন বাকি আর কয়েকদিনের অস্তিত্বে, তখন আমেরিকার খাদ্য ও ঔষধ প্রশাসনিক বিভাগ থেকে প্রদান, অ্যান্টিবায়োটিক ফ্লোরোকুইনোলোন ব্যবহার নিয়ে কড়া সতর্কবর্তা।
আমেরিকার এই সংস্থার গত তিনবছরের পরীক্ষালব্ধ ফলস্বরূপ তারা জানায় যে, ফ্লোরোকুইনোলোন অ্যান্টিবায়োটিকটি ব্যবহারে বিপদের ঝুঁকি বাড়তে পারে আরও এক ধাপ। আমেরিকান সংস্থার গবেষণানুসারে, এটির ব্যবহারে ধমনীর গাত্রের মধ্যে দেখা যেতে পারে অবাঞ্ছিত স্ফীতি, যা আয়তনে বড়ো হতে থাকে এবং এক সময় সেটি ফেটে গিয়ে সেখান থেকে শুরু হয় রক্তক্ষরণ। ডাক্তারী শাস্ত্রে একে বলা হয় অ্যাউরটিক অ্যনিউরাইজ্ম। ফ্লোরোকুইনোলোন ব্যবহারকারীদের মধ্যে বয়স্ক রোগী বা যাদের রক্তচাপ সাধারণের চেয়ে বেশি, কিংবা যাদের মহাধমনী বা অন্য কোনো রক্তবাহ অবরূদ্ধ এবং যারা মারফন সিন্ড্রোম বা এহ্লার্স-ড্যানলস্ সিন্ড্রোম-এর মত জিনগত ব্যাধিতে আক্রান্ত তাদের মধ্যে এই অ্যাউরটিক অ্যানিউরাইজ্ম-ই বেশি দেখা যায়।
সাধারণত ফ্লোরোকুইনোলোন অ্যান্টিবায়োটিকটি শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ, নিউমোনিয়া, মূত্রনালীর সংক্রমণ ইত্যাদি রোগের নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়। এমনকি প্লেগ ও অ্যানথ্রাক্স রোগের বিপরীতেও এই অ্যান্টোবায়োটিকটি ব্যবহারযোগ্য। মৌখিকভাবে বা ইনজেকশন মারফত এটি রোগীদের দেওয়া হয়।
বি: দ্র: ফ্লোরোকুইনোলোন এই অ্যান্টিবায়োটিক বাজারে সিপ্রোফ্লোক্সাসিন (সিপ্রো), জেমিফ্লোক্সাসিন (ফ্যাক্টিভ), লিভোফ্লোক্সাসিন (লিভাকুইন), মক্সিফ্লোক্সাসিন (অ্যাভিলক্স), নর্ফ্লোক্সাসিন (নরাক্সিন) এবং ওফ্লোক্সাসিন নামে পাওয়া।