ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (ICMR) ই-সিগারেট এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক নিকোটিন ডেলিভারি সিস্টেম (ENDS) উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার সুপারিশ করেছে
নিউক্র্যাড হেলথ বাংলার প্রতিবেদন
একটি সরকারি ইস্তেহারে, মেডিক্যাল কাউন্সিল উল্লেখ করেছে যে ই-সিগারেট এবং অন্যান্য ডিভাইসগুলিতে শুধুমাত্র নিকোটিন সলিউশনই নয় আরও অন্যান্য বিভিন্ন স্বাদের এজেন্ট এবং বাষ্পীভূতকারী আসক্তি সৃষ্টিকারী ক্ষতিকারক উপাদান উপস্থিত থাকে।
“ENDS বা ই-সিগারেটগুলির ব্যবহার মানুষের উপর কী ধরনের প্রতিকূল প্রভাব ফেলতে পারে তা নথিভুক্ত করা হয়েছ। এগুলো হলো- ডিএনএর জন্য ক্ষতিকর; কার্সিনোজেনিক; সেলুলার, মলিকিউলার এবং ইমিউনোলজিক্যালি টক্সিক ; শ্বাসযন্ত্র, হৃদযন্ত্র এবং স্নায়বিক ব্যাধি সৃষ্টিকারী; এবং গর্ভাবস্থায় ভয়ানক প্রতিকূল প্রভাব ফেলে।
ই-সিগারেটগুলিয়ে ধূমপায়ীদের তামাকের ব্যবহার বন্ধ করতে সহায়তা করতে পারে এমন যুক্তি সরাসরি প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। মানুষ তামাকজাত দ্রব্য ও এই ই-সিগারেট উভয়ের ব্যবহারের প্রতি আসক্ত পড়ার ঝুঁকি বরং অনেক বেশি হয়ে যায়।উপরন্তু ডিভাইসগুলি ধূমপায়ীদের তামাকের আসক্ত হতে উৎসাহিত করতে পারে “। যদিও এ ক্ষেত্রে তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য প্রমাণ এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
নিউক্র্যাড স্বাস্থ্য কথা – সুস্থ পরিবার, সুস্থ সমাজ । নিউক্র্যাড হেলথ নিয়ে এলো বিশ্বের প্রথম স্বাস্থ্য বিজ্ঞান সংবাদ মাধ্যম আমাদের মাতৃভাষা বাংলা তে । নিউক্র্যাড হেলথ পড়ুন আর স্বাস্থ্য বিজ্ঞান তথ্য সংগ্রহ তে এগিয়ে থাকুন ! শেয়ার করে আমাদের সমাজের সচেনতা বাড়াতে সহযোগিতা করুন । আপনারা পেজ টি লাইক করুন আর ভালো লাগলে রিভিউ দিতে কার্পণ্য করবেন না ।
ধন্যবাদান্তে,
ড: বিশ্বরূপ ঘোষ, গবেষক, আমেরিকায় কর্মরত
ভারতের পাবলিক হেলথ ফাউন্ডেশন অব ইন্ডিয়ার ডাঃ কে শ্রীনাথ রেড্ডির নেতৃত্বে একটি কমিটি বিশ্বব্যাপী 300 টি গবেষণাপত্র বিশ্লেষণ করে এই ইস্তেহার পত্র তৈরি করেছেন। এটিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে বিভিন্ন ধরনের স্বাদ এবং আকর্ষণীয় ডিজাইনগুলিই এই ডিভাইসগুলির জনপ্রিয়তার অন্যতম কারণ।
বর্তমানে অনেক দেশেই যুবক এবং কিশোরীদের মধ্যে ই-সিগারেট ব্যবহারের প্রবণতা ক্রমবর্ধমান।
“ENDS বা ই সিগারেট ব্যবহার তামাকের প্রতি আসক্তি বাড়িয়ে তুলতে পারে। এই জনস্বাস্থ্যের উপর এই ই-সিগারেট নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। “
এই কমিটিতে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ ; অল্ ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স; চণ্ডীগড় পোস্ট গ্রাজুয়েট ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ; স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়; এবং ভারতের খাদ্য নিরাপত্তা ও মানদণ্ড নির্ধারক কর্তৃপক্ষ (FSSAI) – এর বিভিন্ন বিশেষজ্ঞরা এই সমীক্ষা পত্রটি তৈরী করার সাথে যুক্ত ছিলেন।
ডা: রেড্ডি উল্লেখ করেছেন যে বর্তমানে 460 টিরো বেশি ই-সিগারেটের ব্র্যান্ড রয়েছে; যেগুলিতে নিকোটিন সরবরাহের বিভিন্ন কনফিগারেশন রয়েছে এবং 7700 এরও বেশি স্বাদে বাজারে এসেছিল; এরজন্যই এটি দ্রুত তরুণ প্রজন্মের মধ্যে আকর্ষণীয় করে তুলেছিল। গবেষণায় দেখা গেছে যারা প্রাথমিকভাবে ই-সিগারেট এবং এই জাতীয় অন্যান্য ডিভাইসগুলি ব্যবহার করত, তারাই আবার পরে নিয়মিত ধূমপানের প্রবণতা বেশি দেখা গেছে। এবং এগুলিই পরোক্ষভাবে ধূমপানের প্রবণতা বৃদ্ধি করে।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ক্যান্সার প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ এর পরিচালক ডাঃ রবি মেহরোত্রা; যিনি এই প্যানেলের একজন সদস্যও বটে; জানিয়েছেন- ই-সিগারেটের বাজার ক্রমশ রমরমিয়ে বেড়েই চলেছে। বিভিন্ন ধরনের পন্য প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলি, বিভিন্ন চ্যানেলে পৌঁছে যাচ্ছে যুব সমাজের কাছে।
ICMR এর বর্তমান পরিচালক ডা: বলরাম ভার্গভ বললেন, “এই ইস্তেহারে প্রদত্ত বৈজ্ঞানিক ও গবেষণার তথ্য ই-সিগারেট এবং অন্যান্য এই জাতীয় ডিভাইসগুলির রমরমা প্রসার নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজনীয় নীতি প্রণয়ন করতে সরকারকে সহায়তা করতে পারে।”