কেন অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোরী মেয়েরা মা হলে অপরিনত ও আন্ডার ওয়েট বাচ্চা প্রসব বেশি করে ? কি বলছে গবেষণা ?
নিউক্র্যাড হেলথ বাংলার প্রতিবেদন
একটি নতুন গবেষণায় দেখা গেছে যে ভারতে প্রাপ্তবয়স্ক মহিলার চেয়ে অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোরী মেয়েরা; অপরিনত ও আন্ডার ওয়েট বাচ্চা প্রসবের হার 11 শতাংশ বেশি।
ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (IFPRI) দ্বারা পরিচালিত গবেষণায় দেখা গেছে যে কিশোরী অবস্থায় গর্ভাবস্থা এবং আপরিনত, অপুষ্ট শিশু প্রসবের জন্য মূলত দায়ী- শিক্ষার অভাব, দরিদ্রতা জনিত কারণে পুষ্টির অভাব, জন্মদানের পূর্বে ও প্রসবোত্তর সময়ে সঠিক স্বাস্থ্যসেবার অভাব, সঠিক পরিপূরক খাবার না খেয়ে কাটিয়ে দেওয়া এবং কিশোর মায়েদের নিম্নমানের জীবনযাত্রা।
2015-16 এর মধ্যে জাতীয় পারিবারিক স্বাস্থ্য জরিপের চতুর্থ রাউন্ড থেকে তথ্য নিয়ে গবেষণা করা হয়। এখানে রাষ্ট্র ও জেলা উভয় পর্যায়েই প্রতিনিধি ছিল এবং প্রায় ছয় লক্ষ পরিবারের তথ্য ছিল।
এটি প্রমাণিত হয়েছে যে, ভারতের 31% বিবাহিত নারীরা সামাজিক প্রাতিষ্ঠানিক চাপ এবং প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ক কম জ্ঞানের কারণে 18 বছর বয়সের আগে বা 18 বছর বয়সে গর্ভাবতী হয়ে পড়েন।
কিশোরী মায়েদের, প্রাপ্তবয়স্ক মহিলাদের তুলনায় অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতাতে ভোগার হার অনেক বেশি, আর অ্যানিমিয়া শিশুর বৃদ্ধির সাথে ওতপ্রোতভাবে ভাবে সম্পর্কিত। এই তথ্যটি 60,097 মাতৃ-সন্তানের জোড়ার থেকে তথ্য সংগ্রহ করে তার বিশ্লেষণের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে।
“সারা বিশ্বে 15-19 বছরের বয়সী 16 মিলিয়ন কিশোরী প্রতিবছর সন্তান প্রসব করে। এবং এই 95% ঘটনাই কম আয় এবং মধ্যম আয়ের দেশগুলির মধ্যে ঘটে। এই সমীক্ষার সাথে যুক্ত এক গবেষক ফুওং হং নিগেয়েন বলেন, স্থায়ী উন্নয়ন অর্জন করতে গেলে এই ধরনের প্রসবহার কম করতে হবে।
বিশ্বব্যাপী 15-19 বছর বয়সী মেয়েদের মৃত্যুর অন্যতম কারণের মধ্যে একটি হলো গর্ভধারণ ও সন্তান প্রসব করার সময় জটিলতা। বয়ঃসন্ধিকাল গর্ভাবস্থার জন্য মূলত দায়ী হল দারিদ্রতা ও সেই কারনে স্কুলছুট হয়ে যাওয়া। ভারতীয় নারীর মধ্যে ক্ষীণ হয়ে যাওয়ার হার 24 এর আগে বিবাহিতা মহিলাদের চেয়ে 18 বছর আগে বিবাহিতা মহিলাদের দ্বিগুণ।
দ্যা ল্যান্সেট চাইল্ড অ্যান্ড অ্যাডোলোসেন্ট হেলথ নামক জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণায়টিতে এক সহ-গবেষক পূর্ণিমা মেনন জানিয়েছেন, “ভারতে, কমবয়েসে বিয়ে গর্ভধারণ করা প্রায়শই মেয়েটির নিজস্ব ইচ্ছাকৃত নয়। সমাজে ও পরিবারের চাপে প্রায়শই একপ্রকার জোর জবরদস্তি, অনিচ্ছা সত্ত্বেও গর্ভধারণ করতে হয়, যা মেয়েদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে!”
নিউক্র্যাড স্বাস্থ্য কথা – সুস্থ পরিবার, সুস্থ সমাজ । নিউক্র্যাড হেলথ নিয়ে এলো বিশ্বের প্রথম স্বাস্থ্য বিজ্ঞান সংবাদ মাধ্যম আমাদের মাতৃভাষা বাংলা তে । নিউক্র্যাড হেলথ পড়ুন আর স্বাস্থ্য বিজ্ঞান তথ্য সংগ্রহ তে এগিয়ে থাকুন ! শেয়ার করে আমাদের সমাজের সচেনতা বাড়াতে সহযোগিতা করুন । আপনারা পেজ টি লাইক করুন ।
ধন্যবাদান্তে,
ড: বিশ্বরূপ ঘোষ, গবেষক, আমেরিকায় কর্মরত